বুধবার (০১ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য।
তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও সকাল থেকে জনদুর্ভোগ হয়েছে এবং কিছু দুঃখজনক খবরও আমরা পেয়েছি। আপাতদৃষ্টিতে এটা আদালতের রায় বদলানোর কৌশল মনে হলেও আদতে এটি ছিল পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা; আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে জিম্মি করে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সকল বিচার ব্যবস্থা ও আদালতের ঊর্ধ্বে উঠতে চেয়েছিল পরিবহন মালিক ও চালকগণ।
আদালতের রায়ে বিক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারেন তারা। কিন্তু তাই বলে জনগণকে জিম্মি করে আদালতের রায় পালটানো নিশ্চয়ই ঔদ্ধত্যপূর্ণ।
তাহজীব বলেন, কোনো গোষ্ঠী যদি তাদের হীনস্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারের কাছে অন্যায় আবদার করে বসে এবং আইনের শাসনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে, তাহলে আমি সরকারকে অনুরোধ করব ভবিষ্যতেও শক্ত হাতে সেটি মোকাবেলা করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসএম/এসআরএস/আরআই