তবুও বিড় বিড় করে কি যেন বলতে চায়। আর কিছুক্ষণ পরপর জ্ঞান হারায়।
নাহিদা উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়ার মো. হোছাইনের মেয়ে। কালারমার ছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মারুফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নাহিদার কপালে একটি এবং বাম গালে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। তার ডান চোখ ফুলে আছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ওসিসিতে রাখা হয়েছে।
নাহিদার পরিবার জানায়, নাহিদাকে মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় উত্ত্যক্ত করতেন হোয়ানকের পুর্ব হরিয়ার ছড়া এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম। তিনি অনেকবার প্রেমের প্রস্তাব দিলেও সাড়া দেয়নি নাহিদা। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে জাহিদ ও তার বন্ধুরা বাড়িতে গিয়ে তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেরে নাহিদাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন তারা। এসময় নাহিদার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে জাহেদ ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যান।
নাহিদার চাচা মোহাম্মদ হেলাল বাংলানিউজকে জানান, নাহিদার বাবা দিনমজুর। কিন্তু বখাটে জাহেদুলের পরিবার সমাজের প্রভাবশালী। তাই মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
আরবি/এসআই