তিনি এই মামলার প্রধান আসামি একই আসনের সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের সোর্স পলাতক সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার সরকারের ভগ্নিপতি।
বুধবার (০১ মার্চ) থেকে রংপুরের বেসরকারি ‘সেবা ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন কসাই সুবল চন্দ্র রায়।
হত্যার দায় স্বীকার করা চার কিলার আব্দুল হান্নান, মেহেদী, শাহীন ও রানার স্বীকারোক্তি থেকে লিটন হত্যাকাণ্ডে সুবলের জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে। এরপর থেকে সুবল চন্দ্র পলাতক ছিলেন।
কসাই সুবলের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কসাই।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, পাকস্থলিতে পাথর অপারেশনের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি রংপুরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন সুবল। ওই হাসপাতালে বুধবার থেকে তাকে নজরবন্দি রাখা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, লিটন হত্যকাণ্ডের তদন্তকারীরা এই হত্যাকাণ্ডে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-দফতর সম্পাদক চন্দন কুমার সরকারকে হত্যাকাণ্ডের সময় লিটনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যদাতা হিসেবে শনাক্ত করেছে। একই সঙ্গে চন্দনের ভগ্নিপতি কসাই সুবল চন্দ্রও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসআই