বুধবার (০১ মার্চ) দিবাগত রাতে পণ্যবাহী ট্রাক মালামাল নিয়ে বেনাপোল বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা দেয়। এর আগে ধর্ঘমট প্রত্যাহারের খবর পেয়ে বুধবার বিকেল থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের আটকে থাকা মালামাল খালাস কার্যক্রম শুরু করেন।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ৪ দিন ধরে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে তেমন একটা পণ্য খালাস নেননি। আর যারা খালাস করেছিলেন তাদের পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দর এলাকায়তে আটকা পড়ে ছিল।
ধর্ঘমট প্রত্যাহারে আটকে থাকা প্রায় হাজার খানেক পণ্যবাহী ট্রাক এক সাথে বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এতে বন্দরের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় তীর্ব যানজট। এ সময় যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ভারত ফেরত যাত্রীরা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, চারদিন ধরে আটকে থাকা পণ্যে এ পথে আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
বেনাপোল গ্রিনলাইন পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহারে তারা গাড়ি ছেড়েছেন। আটকে থাকা ভারত ফেরত দূর-দুরান্তের যাত্রীরা ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত যাতে ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানি পণ্য খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এজেডএইচ/এমজেএফ