ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মগবাজারে পানি নেই, আসে কেবল ময়লা-আবর্জনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৭
মগবাজারে পানি নেই, আসে কেবল ময়লা-আবর্জনা মগবাজার এলাকায় পানির সংকট

ঢাকা: মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় পানির তীব্র সংকট চলছে গত দুই মাস ধরে। গত ১৫ দিন ধরে পানি নেই বললেই চলে। বর্তমানে লাইনে যা আসে তা শুধু ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত দূষিত পানি।

বিষয়টি ঢাকা ওয়াসার নজরে আনা হলে সকাল-বিকেল জরুরি ভিত্তিতে ৬ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বটে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা কিছুই না।
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়ারলেস এলাকার বেপারিপাড়ায় কোনো বাড়িতে ওয়াসা সংযোগের লাইনে পানি আসে না।

যা আসছে তা ময়লা-আবর্জনায় ভরা। ওয়াসা থেকে জরুরি পানি সরাবরাহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে পানি নিতে হয় সবাইকে। অনেকে বাধ্য হয়ে ওয়াসা থেকে আলাদাভাবে ৬০০ টাকার পানি ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকায় কিনে বাসায় নিচ্ছেন। টানাপোড়েনে যারা আছেন, তাদের তাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা ইরফান পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ দুটি মাস পানি সংকটে ভুগছি। ফ্যামিলি বাসায় পানি না থাকলে কি যে কষ্ট হয়। একবার চিন্তা করে দেখুন!

মরিয়ম আক্তার নামে অন্য একজন বাসিন্দা বলেন, আমরা পানি সংকটে ভুগছি। বাসা বাড়ির কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পানি না। রান্নায়, কাপড় ধোয়ার কাজে অনেক বেশি পানির প্রয়োজন হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুনির চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, কমবেশি পানির সমস্যা তো আছেই। তবে ১৫ দিন ধরে পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। গাড়ি দিয়ে জরুরি পানি সরবরাহ করে কতটুকু প্রয়োজন মেটানো যায়? দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা দরকার। ওয়াসাকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছে না।

মুনির চৌধুরী আরও বলেন, মাসে মাসে টাকা তোলা ছাড়া ওয়াসার লোকদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে মনে হচ্ছে। অথচ তাদের অব্যবস্থাপনার কারণেই এই দুর্ভোগ হচ্ছে। ওয়াসার পাম্প হাউজে পানি উঠাতে প্রয়োজন পাঁচটি পাম্প। সেখানে আছে মাত্র দুটি পাম্প। যে দুটি আছে সেখানে পানি ওঠে অর্ধেক। নয়াটোলা শিশুপার্ক পাম্প হাউজ, রেড ক্রিসেন্ট পাম্প হাউজসহ বেশিরভাগ পাম্পের একই অবস্থা। এছাড়া কিছু পাম্প পড়ে আছে বিকল হয়ে। সেগুলো নতুন করে তুলে আরো গভীরে স্থাপন করতে হবে। এ ব্যাপারে তাদের কোনো গুরুত্ব নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এএম/ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।