একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১১টার সময় ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত কাজল কুমার সরকার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার শ্রী সুকেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে এবং তার স্ত্রী মিনা রানী নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়া গ্রামের সদানন্দ পালের মেয়ে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের প্রথম দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়া গ্রামের সদানন্দ পালের মেয়ে মিনা রানীর (১৮) সঙ্গে কাজল কুমার সরকারের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে দুই পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে একই বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় কাজল কুমার সরকার মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে মিনাকে চাপ দিতে থাকেন।
এতে রাজি না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই মিনার ওপর চালতো গালমন্দসহ নির্যাতন। পরে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাজল কুমার ফের যৌতুকের দাবিতে মিনাকে বেদম মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন দিবাগত রাতে নিহতের বাবা সদানন্দ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে কাজল কুমার সরকারকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানিতে ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক কাজল কুমার সরকারকে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। যা আদায়ান্তে ক্ষতিপূরণ বাবদ ভিকটিমের বাবা-মাকে দেওয়ার কথা রয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট একেএম শাজাহান কবির এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হারুনার রশিদ ও অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭/আপডেট:১৩৪১ ঘণ্টা
এসএইচ/আরএ