বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে মির্জাপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ কুমুদিনী হাসপাতালের মর্গ থেকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
প্রায় ৯ বছর আগে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের মাঝুলিয়া গ্রামের পরেশের মেয়ে সুবর্ণার সঙ্গে একই উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রাজাবাড়ি কোদালকাটা গ্রামের মঈন মণ্ডলের ছেলে বিনত মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সুবর্ণাকে তার স্বামী, ভাসুর মানিক মণ্ডল ও তার স্ত্রী নমিতা সরকার শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে গ্রামবাসী ওই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করেন। সুবর্ণার ৫ ও ২ বছরের দু’টি মেয়ে রয়েছে।
সুবর্ণাকে বুধবার দিবাগত রাতে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে পার্শ্ববর্তী লোকজন সুবর্ণাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সুবর্ণার মরদেহ কুমুদিনী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
এদিকে সুবর্ণার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সুবর্ণার বাবা পরেশ ও বড় ভাই অমল বলেন, ধনাঢ্য পরিবারে বিয়ে হওয়ার পর থেকে সুবর্ণার ওপর তারা বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার দেওয়ান আব্দুল কাশেম বলেন, সুবর্ণার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তার স্বামী, ভাসুর ও জা’র ঝগড়া বিবাদ হতো। এ নিয়ে তিনিসহ এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করেছেন।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ০২ মার্চ, ২০১৭
আরএ