সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদূর উশৈসিং এমপি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা জাহান আক্তার।
মন্ত্রী বীর বাহাদূর বলেন, যে দেশে গুণীজনের সম্মাননা দেওয়া হয় না, সে দেশে গুণীজনের জন্ম হয় না। এজন্য গুণীজনকে সম্মাননা দিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পার্বত্যাঞ্চলে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। কারণ সংস্কৃতি দেশের, অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। তিনি বলেন, গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়ার জন্য পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে আগামী অর্থ বছরে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, ২০১৫/১৬ সালে চারুকলা বিভাগে রতিকান্ত চাকমা ২০১৫, যাত্রা শিল্পে নন্দ রাণী চাকমা ২০১৫, কণ্ঠ সঙ্গীতে ফনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা ২০১৫, নৃত্যকলা বিভাগে হুমায়ন কবীর ২০১৫, যন্ত্র শিল্পে ধারশ মণি চাকমা ২০১৫, লোক সঙ্গীতে আনন্দলতা চাকমা ২০১৬, আবৃত্তি বিভাগে অঞ্জুলিকা খীসা ২০১৬, কন্ঠ সঙ্গীতে অমর শান্তি চাকমা (২০১৬), নাট্যকলায় ঝিমিত চাকমা ২০১৬, যন্ত্র শিল্পে ঝুলন দত্ত (২০১৬) কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তাদের প্রত্যেককে শিল্পকলার পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ ক্রেস্ট এবং সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ০২ মার্চ, ২০১৭
আরএ