আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেও কাজ শুরুর সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি ঘোষণা দিয়েছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা হবে।
শতখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ঝন্টু বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এমপি ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্রী বীরেন শিকদার ও ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উভয় নেতার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুইজনই এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই এ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক শুরু করার ঘোষণা দেন।
একইসঙ্গে পরবর্তীতে সেখানে একটি চার লেনের কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনো ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। যে কারণে যশোর মাগুরা সড়কে যাত্রী সাধারণরা বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সময় ও অধিক অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা, বেনাপোলগামী যানবাহন ঝিনাইদহ দিয়ে অতিরিক্ত ৩৪ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী নূর উন নবী তরফদার জানান, বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। আগামী ১২ মার্চ টেন্ডার ওপেন করা হবে।
এরপর ঠিকাদার নির্বাচন করে পরবর্তীতে দুই লেনের বেইলি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে ৪ লেনের স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ০২ মার্চ, ২০১৭
আরএ