শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাজধানীর সদরঘাটে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশ ও জাতির অস্তিত্বকে বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
নদী রক্ষায় সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে আবুল মকসুদ বলেন, আগামী বাজেটে অন্যান্য খাতে বাজেট বরাদ্ধ কম রেখে নদীগুলোর যৌবন ফিরিয়ে আনতে আরও বেশি বরাদ্ধ রাখতে হবে। নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখতে হবে।
তার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুল হক বলেন, বুড়িগঙ্গা দূষণ ও দখল করে আমরা আমাদের অস্তিত্ব হরণ করছি। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে সকলে মিলে নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সরকারকে শক্ত হাতে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
বজলুল হক বলেন, ২০ বছর ধরে বিভিন্ন সভা-সেমিনার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন করে জনগণের পাশাপাশি সরকারকে নদী দূষণ ও দখলের কথা জানাচ্ছি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সরকারই তা আমলে নেয়নি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০০ বছরেও বুড়িগঙ্গাসহ নদীগুলো দূষণ ও দখল মুক্ত হবে না।
মৃত বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে হলে বর্তমান সরকারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা মাহমুদুর রহমান বাবু বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, বাবার হাত ধরে নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে যেতাম, তখন নদীর পানি ছিলো স্বচ্ছ, সুন্দর, টলমলে। এখন বিষাক্ত বর্জ্য ও ভূমিদস্যুদের কারণে সেই পানির রং পরিবর্তন হয়ে কোকাকোলার পানিতে পরিণত হয়েছে। পানি এতই নষ্ট যে নদীর পাশ দিয়ে হাঁটলে কাপড় দিয়ে মুখ চেপে ধরতে হয়।
মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি, বংশাল এলাকাবাসী, ওল্ড ঢাকা ক্লাব, বাঙ্গাল আবু সাঈদ স্মৃতি সংসদ, বোধ ফাউন্ডেশনসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ