শুক্রবার (০৩ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দিনগত রাতে কাশেমকে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বত এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, কাশেমের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তিনি দিনাজপুরের রানীরবন্দর এলাকায় একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি জেএমবির একাংশের আমির ছিলেন। নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ অনেক বড় নেতা এ হুজুরের অনুরক্ত ছিলেন।
গ্রেফতার নব্য জেএমবি সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকের চেষ্টা চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এক ‘ভক্ত’র টাকা তুলতে বাইরে বের হলে সেনপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
সিটিটিসি ইউনিট প্রধান বলেন, কাশেম সপরিবারে অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নব্য জেএমবির মতাদর্শ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে দলটিকে হিংস্র করে তোলেন।
কাশেমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
পিএম/আরআর/জেডএস