শনিবার (০৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল প্রামাণিকের ছেলে ও উদয়পুর গ্রামের আমজেদ খানের মেয়ের জামাতা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দিনগত রাতে আলম বাইসাইকেলে যোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় নিখোঁজ হন।
যশাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শ্বশুর আমজেদ খানের সঙ্গে বড় জামাতা আলমের সু-সম্পর্ক ছিল। তিনি যে কোনো কাজ করার সময় বড় জামাতার পরামর্শ নিতেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ছোট জামাতা করিম। বৃহস্পতিবার রাতে আলম বাইসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজবাড়ি চরপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। উদয়পুর হাইস্কুলের কাছে গেলে করিম তার সহযোগী হারুনকে নিয়ে আলমের গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ স্কুল মাঠের পাশেই মাটিতে পুঁতে রাখেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৮দিকে ঘাতক করিমের সহযোগী হারুন এ বিষয়ে অনুতপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দরুদ মেম্বারকে জানান। পরে তিনি থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ ঘাতক করিম ও তার সহযোগী হারুনকে আটক করে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এএটি/টিআই