আর সে কারণে ওদের দেশে মানুষ সহজেই ফুটপাত ব্যবহার করে। এসব দেশের মতো আমাদের দেশেও এমন ফুটপাত থাকা উচিত, এমন পরামর্শও দিতে ছাড়েন না কেউ কেউ।
কিন্তু পরিহাসের আর পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে এসে এই দখলবাজি করছে ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াই। তারাও রীতিমতো ফুটপাত দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছে তাদের দূতাবাস-সংশ্লিষ্ট স্থাপনা।
রাজধানীর গুলশানের অভিজাত এলাকায় এসব দূতাবাসের ফুটপাত দখলের চিত্র উঠে এসেছে বাংলানিউজের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জিএম মুজিবুরের ক্যামেরায়। এই ছবিটি মাদানি এভিনিউতে আমেরিকান দূতাবাসের। এই দূতাবাসের সামনে পুরো ফুটপাতের অংশটুকু রাস্তার পরেই শক্ত কংক্রিটের বক্স বসিয়ে বেড়া দিয়ে শিকল বেঁধে দখল করে নিয়েছে এই দূতাবাস। সেখানেই প্রতিদিন থাকে দূতাবাসে আসা দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। রাস্তায় স্বাভাবিক হাঁটাচলা এতে ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। সাধারণ পথচারীরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাঁটেন ব্যস্ত সড়কে।
এটি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন। এখানে লোহার ছোট ছোট শক্ত পিলার গায়ে গায়ে পূঁতে বলে দেওয়া হয়েছে ফুটপাতের এই অংশ আমাদের। আর দখল নিশ্চিত করতে ফুটপাতের ওপরই বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বুথ। কানাডীয় হাইকমিশনের দেয়াল ঘেঁষে কতকটা ফুটপাত থাকলেও এক পর্যায়ে আর সে সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে পথচারীদের নেমে পড়তে হয় ব্যস্ত সড়কে।
ইতালিয়ান দূতাবাসের সামনের দিকে ফুটপাত খোলা থাকলেও পেছনের অংশ পুরোটা দখলে নিয়ে দূতাবাস ভবন-সংশ্লিষ্ট স্থাপনা বসানো হয়েছে।
পাকিস্তানি দূতাবাসের আর দোষ কী! পুরো দেশটাই দখল করতে চেয়েছিল একসময়। এখন দূতাবাস বসিয়ে ফুটপাত দখল করেছে। এ আর এমন কি!
রুশ দূতাবাসের সামনের ভাগটা খোলা খাকলেও পেছনের ভাগে ফুটপাত বলে কিছুই নেই।
রাজধানীর গুলশানে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস ভবনও ফুটপাত দখল করে নিয়েছে পুরোপুরিভাবে।
বাংলাদেশ সময় ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭/আপডেট ১৪৪৮ ঘণ্টা
এমএমকে/জেএম