শনিবার (০৪ মার্চ) রাজশাহীর মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম এ খবর বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহতের বড় ভাই আসাদ জামান ওরফে বুলবুল বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেছেন।
মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- নিহত বিপ্লবের সাবেক শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৫০), তা ছেলে রনি আহমেদ (২৮) ও তাদের প্রতিবেশী সাইদুর রহমান (৪০)।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার (০৩ মার্চ) বিকেলে এ হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন। তবে তাদের ধরতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই অভিযান চালায় পুলিশ। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে মহানগরীর মতিহারের কাজলা কেডিক্লাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাবেক শ্যালকের ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্যে খুন হন তার ভগ্নিপতি বিপ্লব হোসেন (২৮)। বিপ্লব কাজলা এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত রনির বাড়িও একই এলাকায়। রনি ও বিপ্লব দুই বন্ধু ছিলেন। প্রায় আট বছর আগে বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন।
কিন্তু এ বিয়ে মেনে নেননি রনি ও তার পরিবার। চার বছর আগে বিপ্লব ও লিজার বিচ্ছেদও ঘটে। চাকরির সুবাদে লিজা এখন তার সাত বছর বয়সী মেয়ে অংকিতাকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন। তবে লিজা বাড়ি এলে বিপ্লবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। এ নিয়ে বিপ্লবের সঙ্গে ফের দ্বন্দ্ব শুরু হয় রনির। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার বিকেলে লিজার বাড়ির সামনে গিয়ে খুন হন বিপ্লব হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এসএস/এএটি/এসএইচ