শনিবার (০৪ মার্চ) বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের আল মাহমুদের ঘর থেকে তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সন্ধ্যায় ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহতের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন ও প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী আল মাহমুদ ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে বলেও যোগ করেন ওসি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের আজিবর রহমানের মেয়ে আসমা খাতুনের সঙ্গে জোলাগাতি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আল মাহমুদের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি বাড়ির পাশে যাত্রাগানের আয়োজন করেন আল মাহমুদ। নৃত্যশিল্পী এনে নাচ গানসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ করেন তিনি। স্ত্রী আসমা খাতুন বিষয়টি জানার পর স্বামীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার (০৩মার্চ) রাতে আল মাহমুদ স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে নিহতের চাচা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস