ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শ্যালকের হাতে খুন বিপ্লবের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৭
শ্যালকের হাতে খুন বিপ্লবের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহীর কাজলা এলাকায় শ্যালকের হাতে খুন বিপ্লব হোসেনের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে কাজলার রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা।

পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।

এ হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগরীর মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।  

পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে মরদেহ নিয়ে তার স্বজন ও এলাকাবাসী মহাসড়কের ওপর বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা মহাসড়কের ওপর মরদেহ রেখে অবরোধও করেন। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি খুনের ঘটনায় শনিবার (৪ মার্চ) মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বিপ্লবের বড় ভাই আসাদ জামান ওরফে বুলবুল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলায় মোট তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- বিপ্লবের শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৫০), তার ছেলে রনি আহমেদ (২৮) ও তাদের প্রতিবেশী সাইদুর রহমান (৪০)।

পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে এই হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন। তাই এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। যে কোনো সময় তারা ধরা পড়বেন।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে মহানগরীর মতিহারের কাজলা কেডিক্লাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় শ্যালকের ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্যে খুন হন বিপ্লব হোসেন (২৮)। বিপ্লব কাজলা এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত রনির বাড়িও একই এলাকায়। রনি ও বিপ্লব দুই বন্ধু ছিলেন। প্রায় আট বছর আগে বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন।  

কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেননি রনি ও তার পরিবার। চার বছর আগে বিপ্লব ও লিজার বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে। চাকরির সুবাদে লিজা এখন তার সাত বছর বয়সী মেয়ে অংকিতাকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন। তবে লিজা বাড়ি এলে বিপ্লবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। এ নিয়ে বিপ্লবের সঙ্গে ফের দ্বন্দ্ব শুরু হয় রনির। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার বিকেলে লিজার বাড়ির সামনে গিয়ে খুন হন বিপ্লব হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।