রোববার (৫ মার্চ) আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আব্দুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ছামছুজ্জোহা সরকার।
পুলিশ জানান, আব্দুল কাদের খাঁনের সঙ্গে ছামছুজ্জোহার ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় পরিচয় হয়।
কিলিং মিশনে ছামছুজ্জোহা অংশ না নিলেও হত্যার ঘটনায় পেছন থেকে তিনি কিলারদের সবক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার সরকারকে আব্দুল কাদের খাঁনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ছামছুজ্জোহা। এরপর থেকে চন্দ্রন কুমার কাদেরের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে আব্দুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শামছুজ্জোহা সরকার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডটি সফল করতে তিনি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্তভাবে জড়িত ছিলেন।
এছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে তার ভূট্টার গোডাউনে অস্ত্রগুলো রাখা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া চার কিলার মেহেদী, শাহীন, হান্নান ও রানা হত্যা মিশনে তার গোডাউনে রাত যাপন করেন। এরপর সেখান থেকেই হত্যা মিশনে অংশ নেন তারা।
আটক শামছুজ্জোহা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
** লিটন হত্যার দায় স্বীকার কাদের খাঁনের পিএস’র
** লিটন হত্যার ঘটনায় কাদের খাঁনের পিএস আটক
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ, ২০১৭
আরএ