সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৩ সালের ১৫ জুন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কবিরপুর গ্রামের বিমল কুমার রায়ের ছেলে ট্রাকচালক শ্যামল কুমার রায় ও একই গ্রামের ইজাল উদ্দিনের ছেলে হেলপার কবির হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
পথে ট্রাকচালক শ্যামল কুমার রায়ের সঙ্গে হেলপার কবির হোসেনের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বার মাইল এলাকায় ট্রাকটি থামিয়ে হেলপার কবির হোসেন শ্যামলকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান।
এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাক চালক শ্যামল কুমার রায়ের মৃত্যু হয়। পরের দিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ শ্যামল রায়কে শনাক্ত করে মরদেহ নিয়ে যায়। ঘটনার পরেরদিন রাতে শৈলকুপা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবেদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে কবির হোসেনকে আসামি করে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি কবির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১৭
আরএ