ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সোমবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্চের মধ্যেই আমরা একটি চেকলিস্ট (আবশ্যিক কাগজপত্রাদি তালিকা) তৈরি করবো।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এটা আমার প্রস্তাবনা থাকবে, তবে এটার সিদ্ধান্ত দেওয়ার কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন। কমিশন যদি মনে করেন যে সংলাপের দরকার, বা সিদ্ধান্ত দেন যে সংলাপ হবে, তবেই হবে।
তিনি বলেন, ওই চেক লিস্টের ভিত্তিতেই আগামী দুই বছর ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এরমধ্যে ভোটার তালিকা হালানাগাদ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংলাপ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ইত্যাদি থাকবে। মূলতঃ এটি হচ্ছে একটি রোডম্যাপ, যার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যেসব দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কিন্তু নিবন্ধন নেই, তারা যে কোনো সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করতে পারে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। নির্বাচিত সংসদের মেয়াদ হয় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৫ বছর। বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারির পূর্বের ১৮০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
ইইউডি/এইচএ/
আরও পড়ুন
** মার্চের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেকলিস্ট