সোমবার (০৬ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রাতে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, নৌ যান চলাচল প্রবাহ উপযোগী ঠিক রেখে এবং নদীর নাব্যতা যথাযথ রেখে যমুনা নদীর প্রস্তাবিত স্থান থেকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক আপাতত ৬ মাসের জন্য বালু উত্তোলন করা যাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লিমিটেড নিজ খরচে প্রাথমিকভাবে ২ বছরের জন্য যমুনা নদী ড্রেজিং এবং ড্রেজিংকৃত বালু সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে রফতানিকরণ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছিলো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ অক্টোবর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে বালু উত্তোলন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লিমিটেডেরর বিদেশে বালু রফতানির বিষয়টি জাতীয় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা নদীর সংশ্লিষ্ট অংশে সমমানের বালুর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়াদি বিবেচনা করে প্রতি ঘনফুট বালু কত মূল্য নির্ধারণ করা যায়, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট তথ্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য একটি টিম গঠন করে।
গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি সংশ্লিষ্ট সিনিয়র পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার সমন্বয়ে এ টিম গঠন করা হয়েছিলো।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য ১ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
এমআইএইচ/টিআই