ভারত মহাসাগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য একটি পাইপলাইন হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (০৬ মার্চ) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিল অব মিনিস্টারস মিটিংয়ে অংশ নেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
ভারত মহাসাগরীয় এ সংস্থাটি বিগত ২০ বছর ধরে মানব নিরাপত্তা ও উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে যে ভূমিকা রেখেছে তার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী।
সেই সঙ্গে আইওআরএ’র নেওয়া সকল পদক্ষেপে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই সামুদ্রিক জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, মানবপাচার, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান এবং অবৈধ, অপ্রকাশ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত (আইইউইউ) মাছ ধরা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা জোরদারের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে ভিসা উদারিকরণ এবং ভূমি, আকাশ ও সামুদ্রিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করবো।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আইওআরএ লিডার সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন লিডার সম্মেলনে জাকার্তা কনকর্ড সই হওয়া কথা রয়েছে।
উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল ভারত মহাসাগরের জন্য মেরিটাইম-বিষয়ক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ৫ থেকে ৭ মার্চ জাকার্তায় এবারের ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ২১ সদস্য দেশ হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কমোরোস, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মরিসাস, মোজাম্বিক, ওমান, সিসিলি, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সোমালিয়া, সাউথ আফ্রিকা, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
সোমবারের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চলমান ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জোট আইওআরএ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মতৈক্য, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আগামীর কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে আনীত সুপারিশমালা গৃহীত হয়।
সম্মেলনের শেষ দিনে (৭ মার্চ) শীর্ষনেতাদের লিডার্স সামিটের এজেন্ডা ও কমূসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধান কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আইওআরএ সদস্য দেশগুলোর জন্য এই বৈঠককে বিশেষভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।
বৈঠকে ‘আইওআরএ প্লান অব অ্যাকশন’ এবং ‘দ্য ডিক্লারেশন অন প্রিভেন্টিং অ্যান্ড কাউন্টারিং টেরোরিজম অ্যান্ড ভায়োলেন্ট এক্সটার্মিজম’ শীর্ষক দুটি ঐতিহাসিক নথি গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬, মার্চ ০৬, ২০১৭
কেজেড/এমজেএফ