মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে শ্রমিকদের মধ্যে এই কেচ বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, ফুলবাড়ীর মানুষ বাহ্যিকভাবে খনির বিরোধিতা করলেও আন্তরিকভাবে তারা ফুলবাড়ী কয়লা খনির বাস্তবায়ন চায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া পাথর খনির পাশাপাশি নবাবগঞ্জের দিঘিপাড়া ও ফুলবাড়ী কয়লা খনি বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এসব খনি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানের আরও উন্নয়ন ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, খনি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় এর আগেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।
খনির আবাসিক এলাকার টেনিস গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ, কোল মাইন অফিসার্স অয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানিয়া, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন-পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার মাহমুদুর রহমান, পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দুল আলম শান্তু।
এতে সভাপতিত্ব করেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ চার শ্রমিক নেতার হাতে যথাক্রমে ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭০ টাকা, ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮ টাকা, ৪৮ হাজার ৯৩০ টাকা এবং ২০ হাজার ৯৪০ টাকার চেক তুলে দেন। খনিতে কর্মরত প্রায় ৮৫০ জন শ্রমিককে প্রথমবারের মত গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসের বকেয়া হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ০৭ মার্চ, ২০১৭
আরএ