বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, আমরা এখন কোনো চ্যালেঞ্জকেই আর চ্যালেঞ্জ মনে করি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বোমাবাজি করে, টার্গেট কিলিং করে, আগুনসন্ত্রাস করে, মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যাবেনা। যারা এসব করে শান্তির ধর্মকে জঙ্গিধর্ম বানাতে চায় তারা ইসলামের শত্রু। ইসলামের জঙ্গিবাদের কোনো ঠাঁই নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছি, দারিদ্রসীমা অতিক্রম করছি, একের পর এক মেগা প্রজেক্ট নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে এগিয়ে যাচ্ছি তখন একটি গোষ্ঠী জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে আমাদের গতিরোধ করতে চাইছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ ভাতৃপ্রতীম। ধর্ম যার যার দেশ সবার। তারা সবাই নিজের নিজের ধর্ম পালন করেন অন্যদেরও ধর্ম পালন করতে দেন।
ইসলামকে যেভাবে জঙ্গিধর্ম বানানোর অপচেষ্টা চলছে তা কোনোদিনও সফল হবেনা। এক সময় বলা হতো দেশের ইসলামী ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা দেখেছি তা ভুল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনি যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি সেই দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরাই উচ্চশিক্ষিত যুবকদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে দেশের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ জন্যই আমার জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আপনাদের কারণেই জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বদরবারে প্রশংসিত।
তাই আমি বলতে চাই যে, দেশের মানুষ সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই দেশের মাটিতে কোনো দিনই জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। ধর্মের নামে নাশকতা করলে কেউ পার পাবে না। নাশকতা করলে কাউকেই আর ছাড় দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (জিআইজি) খুরশীদ হোসেন, শোলাকিয়া ইদগাহের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ধুবেশা নন্দজী মহারাজ, রাজশাহী ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জেভার্স রোজারিও, সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭/আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা
এসএস/জেডএস