বুধবার (০৮ মার্চ) জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম জাতির পিতা নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে নারী উন্নয়নের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বর্তমান সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্পিকার, মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র সচিব/সচিব পদে, ব্যাংকিং সেক্টরে উচ্চপদ, রাষ্ট্রদূত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা নারীদের নিয়োগ/দায়িত্ব প্রদান করেছি। সকল মন্ত্রণালয়ে নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নের সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে ও জেন্ডার সমতা নির্ধারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৪টি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হল, নারীর সামর্থ্য উন্নীতকরণ, নারীর অর্থনৈতিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, নারীর মত প্রকাশ ও মত প্রকাশের মাধ্যম সম্প্রসারণ এবং নারীর উন্নয়নে একটি সক্রিয় পরিবেশ সৃষ্টিকরণ।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নের আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৬ অনুযায়ী ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম যা দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের চাইতে ভালো অবস্থান নির্দেশ করেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থানে।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকার এবং সরকার প্রধান হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, অর্জিত সাফল্যে নারীরা আজ সমাজকে আলোকিত করেছে। এই পুরস্কার এদেশের সকল নারীর।
**বিনা বিচারে কারারুদ্ধরা রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ