ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে শিপিং করপোরেশন বিল পাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
সংসদে শিপিং করপোরেশন বিল পাস

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) শেয়ার মূলধন এক হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে এবং শেয়ারের দাম ১০ টাকা করার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বিল-২০১৭’ পাস হয়েছে।

বুধবার (০৮ মার্চ) বিকেলে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামসহ কয়েকজন বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করার প্রস্তাব দেন।

যদিও তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি কণ্ঠভোটে পাসের প্রস্তাব করলে তা সর্বাধিক ভোটে পাস হয়।

১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির জারিকরা অধ্যাদেশটি রহিত করে আইনটি যুগোপযোগী করতে নতুন এ আইনটি আনা হয়েছে।
 
বিলটি আইনে পরিণত হলে ১৯৭২ সালের ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরশেন অর্ডার’ রহিত হবে। আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় বিলটি উত্থাপনের আগে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
 
প্রস্তাবিত আইনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ন্যূনতম সাত এবং অনধিক ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কপোরেশনের শেয়ার হোল্ডারদের মধ্য থেকে ২ জন পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের ৪-৬ ধারায় বলা হয়েছে, শিপিং করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। যা ১০টাকা অভিহিত মূল্যের একশ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হবে। করপোরেশনের পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫০ কোটি টাকা। যা ৩৫ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হবে।  
 
বিলে আরও উল্লেখ রয়েছে, করপোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের শেয়ারের মধ্যে নূন্যতম ৫১ ভাগ শেয়ার সরকারের মালিকানাধীন থাকবে। অবশিষ্ট শেয়ার পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জনসাধারণের কাছে বিক্রয়ের জন্য নির্ধারণ করা যাবে। করপোরেশনের অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধনের প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আদেশ নির্দেশনা অনুসারে নির্ধারিত হবে।
 
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আন্তর্জাতিক নৌ-পথে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনাকারী একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে এ করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসহ জ্বালানি, সার, খাদ্যশস্য পরিবহন ছাড়াও জাতীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। ১৯৭২ সালের আইনটি যুগোপযোগী করতে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলাভাষায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ২০১৭ বিল আনা হয়েছে।

পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন:
এদিকে পাটের বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে গবেষণার জন্য ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭ উত্থাপিত হয়েছে। ‌’
 
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী নতুন এ আইনটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। তবে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।  
 
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউট পাট ও সমশ্রেণির আঁশ ফসলের কৃষি, কারিগরি ও অর্থনৈতিক গবেষণা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন ও পরিচালনা এবং আঁশজাত ফসল উৎপাদন এবং গবেষণার ফলাফল সম্প্রসারণ করবে। এছাড়া সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে।

**নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ
**বিনা বিচারে কারারুদ্ধরা রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।