বুধবার (৮ মার্চ) সকালে ভানু ঋষি নামে পৌর আওয়ামী লীগের ওই সদস্য স্থাপনাটি ভাঙেন। পুলিশ এ কাজে প্রথমে বাধা দিলেও পরে রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করে।
ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফৌজদারি আইনে ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে ভানু ঋষির বাবা প্রয়াত মন মহন ঋষি ৩৩ শতক জমি কৃষি বিভাগের নামে দানপত্র দলিল করে দেন।
পরে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় মন মহন ঋষির দু’ পুত্র ভানু ঋষি ও জয় মহন ঋষি জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর শুরু হয়ে যায় দখলের মহড়া ও মামলা। নিম্ন আদালতের মামলায় ভানু ঋষিদের পক্ষে রায় এলে কৃষি বিভাগ আপিল করে।
এরমধ্যেই প্রকাশ্যে কমান্ডো স্টাইলে উপজেলা কৃষি অফিসের জমিতে নির্মাণাধীন স্থাপনাটি ভাঙার ঘটনা ঘটলো। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ দখলে নেওয়ার পাঁয়তারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাবুর রহমান।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সরকারি স্থাপনা অবৈধভাবে ভেঙে ফেলা, সম্পদের ক্ষতিসাধন ও দখলের অপচেষ্টার কারণে দখলকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছা. নাছরিন আক্তার বানু বাংলানিউজকে জানান, তিনি নিজে বাদী হয়ে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এমএএএম/এইচএ/