এ ঘটনায় শিশুটি মারা গেলেও ইনছেনা গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়ে তাদের দিন চলতো। এতে ভেঙে পড়েছিলেন ইনছেনা বেগম। মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো তার স্বামী দুলাল মিয়া রিকশা চালানোর জন্য রংপুরে চলে যান। এই সুযোগে ইনছেনা শিশু সন্তান রিফাতকে কীটনাশক পান করিয়ে নিজেও কীটনাশক পান করেন।
এতে দু’জনেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে শিশু রিফাতের মৃত্যু হলে ইনছেনাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
দরিদ্র রিকশাচালক দুলাল মিয়া জানান, সংসারে উন্নতির জন্য বেসরকারি (এনজিও) অফিস এবং গ্রামের মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ ব্যাপারে চাপ ছিল। এছাড়া অভাবের কারণে তাদের ঠিকমতো খেতে দিতে পারতাম না। এ জন্যই হয়তো ইনছেনা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক শিশু মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, শিশুটির মরদেহ বুধবার দুপুরে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইনছেনা বেগমের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ