অভিযান চলাকালে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জঙ্গিরা এখানে বসবাস করতো কাপড়ের ব্যবসায়ী পরিচয়ে।
বাড়ির মালিক মোহাম্মদ রিদওয়ান উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দোতলা ওই বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। তিনি নিজেকে কাপড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
মাহমুদুল হাসান, তার বোন জামাই কামাল, বোন এবং বোনের এক শিশু সন্তানসহ এই বাসায় থাকতেন। মাহমুদুল হাসান কুমিল্লায় গ্রেফতার হওয়ার একদিন আগেই বাসা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যান তার বোন ও ভগ্নিপতি। বাসার মালিক রিদওয়ান মনে করছেন বাসা ছেড়ে যাওয়া তাদের পূর্ব পরিকল্পনারই অংশ।
কথা হয় ওই এলাকার আব্বাস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির, তিনি জানান, মাহমুদুল হাসান বেশিদিন হয়নি এই এলাকায় এসেছেন। তিনি মিরসরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতেন। এ পরিচয়ের আড়ালে তিনি যে জঙ্গিদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন তা একেবারেই আঁচ করা যায়নি।
নার্গিস আক্তার নামে ওই এলাকার এক নারী জানান, বাসাটির নিচ তলায় এক নারী তার স্বামী ও ভাই নিয়ে থাকতেন। তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তানও ছিল। তিনি সারাক্ষণ ঘরেই থাকতেন।
বাড়ির মালিক রিদওয়ান বলেন, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পুলিশের অভিযানের পর দেখা যায় তার পরিচয় পত্রটিও ভুয়া। পরিচয় পত্রে উল্লেখিত ঠিকানা সঠিক নয়।
বাড়ির ভেতরে এভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা বলেছিলেন কাপড়ের ব্যবসা করেন, তাই ভাবছিলাম ব্যাগে করে তারা কাপড়ই আনতেন, এর ভেতর যে অস্ত্র আর বোমা থাকতো তা কখোনো ভেবেও দেখিনি।
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, বাড়িটি থেকে আটক জঙ্গি সদস্যরা বিস্ফোরক তৈরি করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি মিরসরাইয়ের এ আস্তানার কথা স্বীকার করেন। বাড়িটিকে জঙ্গিরা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ