বুধবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
গীনি বলেন, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করার ষড়যন্ত্র করা হয় এবং পরবর্তীতে সালাউদ্দিনকে গুম করার নাটক সাজানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খোঁজ নেবেন কি না, এই ইলিয়াস আলীরা সিরিয়ায় গিয়ে আইএস’এর যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে, নাকি পাকিস্তানে গিয়ে তারা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এটার দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বর্ণনা করে হুইপ গীনি বলেন, ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ সাঈদীকে চাঁদে দেখে যাচ্ছে গুজব ছড়িয়ে সারা দেশে তাণ্ডব চালানো হয়। সেই তাণ্ডবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৪ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ জুন খালেদা জিয়া ইংরেজিতে নিবন্ধন লিখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছেলেন। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করার নামে ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত ৪০ হাজার বৃক্ষ কেটে ফেলেছিলো, সেই গাছ তারা বিক্রিও করে দিয়েছিলো। তখন কোনো পরিবেশবাদী একটি কথাও বলেনি। বিএনপি-জামায়াত তখন ৫৮২টি স্কুলও পুড়িয়ে দিয়েছিল।
২০১৫ সালে খালেদা জিয়া নিজের বাড়ি ছেড়ে অফিসে গিয়ে কী ষড়যন্ত্র করেছিলো তার তদন্ত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব আরা গীনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাইট নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়। রামপাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। ড. ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণের নামে মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। ওরা লাভের টাকাতো দূরের কথা আসলও ফেরত দেয়নি। আসলও ইউনূস মেরে খেয়েছে। এরাই এখন বড় বড় কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আরও আলোচনা করেন, ছবি বিশ্বাস, পঙ্কজ নাথ, মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, মাহজাবিন খালেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ