শনিবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খাজা আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে বলেন, কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির ওজন ১ কেজি ৭০ গ্রাম। সে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি জন্ডিসেও আক্রান্ত।
শিশুটিকে চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কিনা।
উদ্ধারের পর নবজাতকটিকে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দিকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকারী দম্পতি বিপ্লব ও তার স্ত্রী লিপি বাংলানিউজকে বলেন, শাহ আলীর নবাবের বাগ এলাকায় আমাদের বাঁশের ব্যবসা আছে। এক পাগল এসে আমাদের ওই নবজাতকের খবর দেয়। বেড়িবাঁধের পাকার মাথায় আমরা গিয়ে দেখি, পরিত্যক্ত ভাঙা ছাপড়া ঘরে একটি ময়লা খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা বাজারে ব্যাগে কি যেনো নড়াচড়া করছে। পরে সেখানে গিয়ে ওই ব্যাগটি খুলে দেখি এক কন্যাশিশু। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে পরিষ্কার করে শাহ আলী থানায় খবর দেই।
পরে শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলামসহ ওই নবজাতকে ঢামেকে নিয়ে আসি।
ঢামেক নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিষা ব্যানার্জি বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির শরীরে মশা ও পোকা-মাকড়ের কামড়ের দাগ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এজেডএস/এসজে/এএ