রোববার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণার সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু হোম গ্রোন জঙ্গি রয়েছে যারা, বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তবে বাংলাদেশ পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিট সাফল্যের সঙ্গে তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। গুলশানে হলি আর্টিজান থেকে অনেক বন্দিকে তারা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দক্ষিণ এশিয়ান ও অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তথ্য ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান ঘটবে যা, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগবে।
উদ্বোধন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ১৪টি দেশ ও ৬টি সংস্থা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হবে। শেষের দিন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষরিত হবে।
সন্ত্রাসবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ করা হচ্ছে। সম্মেলনে এজন্য ফেসবুক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এক দেশের সন্ত্রাসীরা অন্য দেশে পালিয়ে গেলে কীভাবে তাদের ফেরত আন যায় এসব বিষয়েও পারস্পরিক আলোচনা হবে।
সীমান্তের বিষয়গুলো বর্ডার গার্ড সদস্যরা দেখেন। তারপরেও অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধে করণীয় সম্পর্কে সম্মেলনে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ও ইন্টারপোলের যৌথ আয়োজনে এ ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিস অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
এতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালোয়শিয়া, মায়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও সম্মেলনে রয়েছেন ইন্টারপোল, ফেসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের আইজিসিআই, কেন্দ্রীয় তদন্ত অধিদফতর (এফবিআই), আসিয়ানপোল ইত্যাদি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ৫৮ জন বিদেশি প্রতিনিধি।
কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীরা জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ, সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
কনফারেন্স শেষে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষরিত হবে।
**ঢাকায় চলছে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
পিএম/জেডএস