রোববার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পারস্পরিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে এ সম্মেলনের আয়োজন।
কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যে এমন সম্মেলন নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়। তাই প্রথমবারের মতো ঢাকায় ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সাইবার অপরাধ, জঙ্গিবাদ, বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে আলোচনা হবে।
আলোচনার মাধ্যমে এসব অপরাধ দমনে সবাই মিলে উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইন্টারপোল সেক্রেটারি।
ইন্টারপোল আন্তর্জাতিক পুলিশ নেটওয়ার্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের ১৯০টি দেশে ইন্টারপোল পুলিশি সহায়তা প্রদান করে আসছে।
বাংলাদেশে গত বছরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সফলতার সঙ্গেই বাংলাদেশ এটি মোকাবেলা করেছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের জন্য এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এখানে বিভিন্ন দেশের অফিসারদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান হবে। যা থেকে করণীয় বিষয়গুলো বের হয়ে আসবে।
সম্মেলন শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্যই নয় সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিকভাবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ও ইন্টারপোলের যৌথ আয়োজনে এ সম্মেলন চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
এতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালোয়শিয়া, মায়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও সম্মেলনে রয়েছেন ইন্টারপোল, ফেসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের আইজিসিআই, কেন্দ্রীয় তদন্ত অধিদফতর (এফবিআই), আসিয়ানপোল ইত্যাদি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ৫৮ জন বিদেশি প্রতিনিধি।
**সন্ত্রাস দমনে পুলিশ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
**ঢাকায় চলছে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
পিএম/জেডএস