রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে লালবাগ শহীদনগর এলাকায় কেমিক্যাল কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্বোধন শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ প্রমুখ।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, কে কীভাবে, কী ব্যবসা করবে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। যে কোনো মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নিতে হবে। যে যত বড়ই হোক কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তালিকা অনুযায়ী কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন মিলে প্রায় হাজার খানেক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানাকে অন্যত্রে সরিয়ে নিতে হবে। কোথায় নেবে, কী করবে এটা যারা বিনিয়োগ করেছে, ব্যবসা করছেন তারা দেখবেন। আমরা আগে থেকেই নোটিশ দিয়েছি, যেসব কারখানা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি, সেসব কারখানা সরিয়ে নিতে হবে।
অগ্নি নির্বাপণ আইনের শর্ত ভঙ্গ করায় পরে ইউনিক পলিমার কেমিক্যাল কারখানাকে দুইলাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কারখানার মালিক আব্দুল করিম ছেন্টু অভিযানের সময় উপস্থিত না থাকায় শ্রমিক কুবাত আলীকে টাকা অনাআদায়ে ৬ মাসের জেল দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক উন নবী তালুকদার।
ইউনিক পলিমার কারখানায় জুতার আঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় দাহ্য পদার্থ। অভিযানে কারখানায় থেকে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭/ আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা
এসএম/টিআই