তিনি বলেছেন, তবে বিষয়টি পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো গুজবে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী চিফ’স অব পুলিশ কনফারেন্সে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জঙ্গিবাদ রুখতে আন্তঃযোগাযোগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মনিরুল ইসলাম বলেন, এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে আমরা জিরো টলারেন্সে। পাশাপাশি নেওয়া হচ্ছে নানামাত্রিক সচেতনতামূলক কর্মসূচিও।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানকে দুইভাগে ভাগ করা যায় মত দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে উগ্রপন্থি বা বামপন্থিদের উত্থান হয়। বর্তমানে বিপদগামী ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের উত্থান হয়েছে, যারাই মূলত জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে।
হলি আর্টিজানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্লগার হত্যা ও হলি আর্টিজানে হামলা ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের দ্বারা সৃষ্ট। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও সিটিটিসি কাজ করে যাচ্ছে।
মাদ্রাসা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কথা তুলে ধরে পুলিশের এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যখন দেশের বাইরে যান তখন বিভিন্ন ধরনের জঙ্গিবাদ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। দেশে এসে তারাই জঙ্গি তৎপরতা চালান। আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক থেকে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণও তাদের কেউ কেউ নিয়েছেন। সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ইন্টারপোল মহাসচিব জারগেন স্টক এবং দক্ষিণ এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা।
সম্মেলন চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
আরএটি/পিএম/আইএ
** অপরাধ দমনে তথ্য আদান-প্রদান গুরুত্বপূর্ণ
**সন্ত্রাস দমনে পুলিশ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
**ঢাকায় চলছে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন