রোববার (১২ মার্চ) ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতালে ‘প্রফেসর এম আলাউদ্দিন সার্জিক্যাল স্কিল ল্যাব’ এর উদ্বোধন শেষে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
মানুষের জীবনে কান, নাক, গলার মতো যন্ত্রগুলোর গুরুত্ব উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাস্তবিক পক্ষেই এই যে কতগুলো বিষয় রয়েছে, কান, নাক, এগুলোর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, মানে বিশেষ গঠন।
তিনি বলেন, কান কি করে আমাদের? কানের যে বিভিন্ন উপাদান তারা করে কি? একজনের বক্তব্য যেটা দেওয়া হচ্ছে, সেই বক্তব্যটাকে ওরা নিজের মধ্যে স্ক্যান করে। স্ক্যান করে ওই বক্তব্যটা আমাদের শোনাচ্ছে। কানে আমি অন্য যন্ত্র দিয়ে দেখেছি, মাই গুডনেস! এতো আওয়াজ কিছুই বোঝা যায় না। এবং এতোটুকু এতোটুকু আওয়াজ এতো জোরে! আপনি একটু চেয়ার নাড়লে এতো জোরে আওয়াজ আসে, যে কিছুই বোঝা যায় না। '
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমি এ বিষয়টা খুব অনুভব করি। কোথাও কোথাও কথা বললে বুঝতে পারি, শব্দটা ঠিক মতো কানে আসছে না। তার মানে আমার কানের শক্তিটা দুর্বল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমি এটা খুব বেশি অনুভব করি। কারণ আমার যেটা হয়, আমি দেখি, ছোটখাটো মিটিংয়ে যখন বসছি, সেখানে খুব বেশি অসুবিধা হয় না। একটু বড় মিটিং যেখানে হয়, অনেকে কথাবার্তা বলছেন, সেখানে যে বক্তব্যটা আমি শুনতে গেছি, সেটা আমার কানেই আসে না। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এটাও আজকের অনুষ্ঠানে আমার আসার একটি কারণ। আমার এই সমস্যাটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য এসেছি। '
হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আই অ্যাম ইন পাবলিক লাইফ মোর দেন সিক্সটি ইয়ারস। এখানে তেমন কারো বয়স নেই ৬০ বছর। বেশিরভাগই এর চেয়ে ছোট। এখানে মৃতসঞ্জিবনী সুধা মানুষকে অন্যের জন্য কাজ করার ক্ষমতা দেয়। মানবতার জন্যে, বন্ধুদের জন্যে, আশপাশের মানুষের জন্যে। এই সময় এসেও কাজের সুযোগ পাচ্ছি এ জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই। ’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী, ইনএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. জাহানার আলাউদ্দিন, সভাপতি অধ্যাপক এ এম এ মবিন, চেন্নাইয়ের ইএনটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য শল্যবিদ অধ্যাপক মোহন কামেশ্বরান।
**প্রধান উপদেষ্টা হয়েও কিছু জানেন না মুহিত!
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এমএন/জেডএস