ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ নিধন বন্ধের সময় বৃদ্ধি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ নিধন বন্ধের সময় বৃদ্ধি

ঢাকা: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়ন ও মা-ইলিশ নিধন রোধের লক্ষ্যে নদ-নদীর জাটকাপ্রধান অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন পর্যন্ত মা-ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ দিন করেছে সরকার।
 
 

এখন থেকে ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা ৩০ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত 'ইলিশ-উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা: গবেষণা-অগ্রগতি' শীর্ষক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন।


 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার নদ-নদীর জাটকাপ্রধান অঞ্চলে পাঁচটি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার পর প্রতিবছর প্রজননের মৌসুমে অর্থাৎ আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার একদিন এবং পরের ১৭ দিন মিলে মোট ২২ দিন মা-ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল। ফলে গতবছর ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এর আগে এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ১৫ দিন।
 
জাটকা নিধন রোধ এবং মা-ইলিশ ধরার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বিগত কয়েক বছর ইলিশের উৎপাদন প্রতিবছর ১০-১২ হাজার মেট্রিক টন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন প্রায় চার লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।  
 
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ১১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইলিশের জাটকা নিধন রোধের জন্য 'জাটকা-সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭' পালিত হচ্ছে।
 
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড জোয়ার্দার ফারুক আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম নিয়ামুল নাসের।
 
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭/আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।