রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইউনিয়নের ১২ জন মেম্বার সংবাদ সম্মেলন করে এ অনাস্থা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহমুদুল হাসান লিটন অভিযোগ করে বলেন, শপথ গ্রহণের পর ইউনিয়নের পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারে বসেন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
লিটন বলেন, কম্বল বরাদ্দ এলেও শীতার্তদের মধ্যে তা বিতরণ করেননি চেয়ারম্যান। এখনো সেই কম্বল তার হেফাজতে রয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন গ্রাম পুলিশ সদস্যদের।
এ মেম্বার আরও বলেন, চেয়ারম্যান মন্ডল ইচ্ছে মাফিক ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। এতে করে নানা ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর না করায় জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব, ওয়ারিশ সনদপত্রসহ বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র নিতে পারছেন না নাগরিকরা।
চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), টিআর, কাবিটাসহ ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত যাওয়ার পথে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ও হতদরিদ্রদের বরাদ্দের এসব টাকা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। ভয়ভীতি দেখাতেও চেয়ারম্যান দ্বিধাবোধ করেননি বলে অভিযোগ করেন লিটন
সংবাদ সম্মেলনে মেম্বার হাফিজুর রহমান, আজগর আলী, মোকছেদ প্রামাণিক, ছানোয়ার শেখ, সাকিব হাসান, রেজাউল করিম, শাহজামাল আকন্দ, মকবুল হোসেন, বিলকিছ খাতুন, আঙ্গুরী বেগম, নাছিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ এনে এই ১২ মেম্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আল আমিন মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, মেম্বাররা নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন। কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো অনিয়ম করি না। আমি কাউকে কোনো ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ দিতে পারি না। অনিয়মের সঙ্গে না থাকায় মেম্বাররা আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন। শুরু থেকেই তারা নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত করে আসছেন। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআইএস/এইচএ/