রোববার (১২ মার্চ) ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, সোমবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের দু’টি থানায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
এদিকে আগামী এপ্রিল থেকে রাজশাহী ও খুলনা মহানগরী এলাকায় এবং মে মাসে জেলা সদর ও পৌরসভায় স্মার্টকার্ড বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ করবো। আর এক কোটি ১৭ লাখের বেশি নতুন ভোটারদের লেমিনেটিং কার্ড দেওয়ার জন্য উপজেলাতেই ছাপানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো না। কেননা আমরা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সব কার্ড পেয়ে গেলেও কার্ডে পারসোনালাইজেশন বা তথ্য সমৃদ্ধ করতে আরো সময় লাগবে। এতে ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, শতকরা একভাগ লোক কার্ড পেতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এটা খুব বড় বিষয় নয়। অনেকের তথ্য অসম্পূর্ণ থাকায় এমন হচ্ছে। এখন এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এখন স্মার্টকার্ড বিতরণে সবগুলো কেন্দ্রেই সিনিয়র সিটিজেন ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন আলাদা কিউ আছে। চট্টগ্রামেও বিতরণের প্রথম দিন থেকেই থাকবে।
সচিব আরো বলেন, যাদের এনআইডি কার্ডে ভুল আছে, তারা এখনও সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। মফস্বল এলাকায় বিতরণে যাওয়ার আগেই সংশোধন করে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস