একই সঙ্গে আদালত দণ্ডপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূইয়া বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুমন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার খেরুপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সুমন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় কর্মরত থাকাকালীন ২০১৪ সালে ৩০ এপ্রিল ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে হাজেরা আক্তার মুক্তাকে বিয়ে করেন। পরে মুক্তা ২০১৫ সালে সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। স্ত্রীর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় সুমন বরখাস্ত হয়ে খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে ছিলেন।
হাজেরা আক্তার মুক্তা বাংলানিউজকে জানান, তিনি সুমনের চতুর্থ স্ত্রী। তার আগে সুমন পর্যায়ক্রমে হরিরামপুরের রুমা, ময়মনসিংহের জুমা ও সাভারের মুহনীকে বিয়ে করে যৌতুক না পেয়ে তালাক দেয়। পূর্বের স্ত্রীদের বিষয়টি না জেনে তিনি সুমনকে বিয়ে করেছিলেন। যৌতুক লোভী সুমনের সাজা হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
আরআইএস/আরআই