ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনা মানসিক হাসপাতালের জায়গা দখলের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
পাবনা মানসিক হাসপাতালের জায়গা দখলের অভিযোগ পাবনা মানসিক হাসপাতালের জায়গা দখলের অভিযোগ

পাবনা: পাবনা মানসিক হাসপাতালের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে অনূকূল ঠাকুর সেবা আশ্রমের সৎসঙ্গ কর্মীদের বিরুদ্ধে। শ্রীশ্রী অনূকূল চন্দ্র ঠাকুরের জন্মস্থান দাবি করে ঠাকুর ভক্তরা জোরপূর্বক জায়গাটি দখলে নেয়। শনিবার (১১ মার্চ) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের পাশ্ববর্তী শ্রীশ্রী ঠাকুর অনূকূল চন্দ্র সেবাশ্রমের সৎসঙ্গ কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের অভ্যন্তরের ১৫ শতাংশ জায়গা ঠাকুরের জন্মস্থানের কথা বলে দখল নেওয়ার জন্যে চেষ্টা করছিল। এর জের ধরে শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে কয়েক শত লোক নিয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে লাঠি বাঁশ ও ইটের স্থায়ী স্থাপনা তৈরীর চেষ্টা করে।

এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা পিছু হঠে।

পরে রোববার (১২ মার্চ) অনূকূল ঠাকুরের ১২৯ তম আর্বিভাব দিবসকে কেন্দ্র করে ওই সেবা আশ্রমে জমা হওয়া লোকজনদের নিয়ে তারা জায়গাটি দখল নেয়।

তিনি বলেন, আইনানুযায়ী আশ্রম কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জায়গাটি পেলে ফিরিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে চর দখলের মতো জায়গা দখল করাটা মোটেও আইনসিদ্ধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান সহকারী অংশুপতি বিশ্বাস বলেন, রাত দেড়টার দিকে লোকজন নিয়ে জায়গাটি দখল নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। তার মতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কোন অনুমতি পত্র পায়নি। তারা কেন কিভাবে জায়গাটি দখল নিল আমাদের বোধগম্য নয়। এই জায়গা নিয়ে মামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে আশ্রমের লোকজন এই জায়গাটি দখল করেছে। বিষয়টি মোটেও আইনসিদ্ধ নয়।

ওই এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই এই জায়গাটি জেনে আসছি হাসপাতালের, অথচ সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি যে আশ্রমের লোকজন জায়গাটি দখল করে নিয়েছে।

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনূকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সভাপতি শ্রী বিমল রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এই জায়গাটি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছিল। মামলার রায় পাওয়ার পর জায়গাটি দখল নেওয়া হয়েছে। এতে আমরা আনন্দিত, কেননা দীর্ঘদিনের পর সৎসঙ্গের লোকজনের দাবি পূরণ হয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমি জানি না, খোঁজ নিয়ে তারপর বলতে পারবো।

এ ব্যাপারে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো’র মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, মামলা বা আদালতের রায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। এভাবে সরকারি জায়গা দখলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।