জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই পুরান ঢাকার অন্যতম প্রধান উৎসবস্থল শাঁখারি বাজার থাকায় প্রায় সবধরনের উৎসবেই সরব উপস্থিতি দেখা যায় জবিয়ানদের। আর সেখানে দোলযাত্রার দিনে এমন উচ্ছল রঙের খেলা বাদ দেওয়ার কথা তো চিন্তাও করা যায় না।
সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আবির হাতে একে অপরকে রাঙান জবি শিক্ষার্থীরা। পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের রঙের ছোঁয়া দিয়ে তারা পালন করেন হোলি উৎসব। থেকে থেকে একটু পর পর তৈরি হচ্ছিলো জটলা আর সে জটলা ভাঙার পরে রঙের দাপটে একেকজনকে চেনাই দায় হয়ে যাচ্ছিলো। এমন পরিস্থিতিতেও কেউ বিরক্ত নন, উলটো খুশি হচ্ছেন এমন হুটহাট রঙিন উদযাপনে।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। ‘ফাল্গুন মাসের শেষ পূর্ণিমাতে’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত শ্রীকৃষ্ণ-শ্রীরাধা এবং তাদের সখিদের আবির খেলার স্মরণেই হিন্দু সম্প্রদায় এই হোলি উৎসব পালন করে থাকে বলে প্রচলিত রয়েছে।
হোলি উৎসবের অনুভূতি জানতে চাইলে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাঙালিরা উৎসবপ্রিয় জাতি, আর জবি তো সেখানে অনন্য। সব ধরনের উৎসবেই আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে থাকি। তবে হোলি উৎসবটিকেও আমরা অনেক আনন্দের সঙ্গে পালন করে থাকি। আর এখানে কে কোন ধর্মের সেটা আমাদের কাছে মুখ্য নয়।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভাশিস বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি উৎসবের মাধ্যমেই নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো সুদৃঢ় হয়। হোলি খেলা যদিও হিন্দুদের একটি উৎসব তারপরেও অন্য ধর্মের বন্ধুদের শামিল হওয়া দেখে অনেক বেশিই ভাল লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
ডিআর/এসআরএস/আরআই