এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা মো. আলামিন।
রাজধানীর মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে পল্লবী হয়ে মিরপুর ১২ নাম্বার পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) রাস্তা সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ।
পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এতদিন যেমন-তেমন করে চলে গেলেও বৃষ্টির মৌসুম চলে আসায় সব থেকে বেশি ভোগান্তি তাদের পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি কাজ চলায় অনেকে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পল্লবীর ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন থানা রোডের পুরো অংশ জুড়ে চলছে রাস্তা সংস্কার কাজ। এ রাস্তা দিয়ে স্থানীয়দের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আর রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া রোডের পাশে বিসমিল্লাহ মোটরস দোকানের মালিক মো. নাসির ভূঁইয়া নিজের ব্যবসা নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।
নাসির বাংলানিউজকে বলেন, এ রাস্তা সংস্কারের জন্য আমার দোকানে কোনো ক্রেতা আসতে পারে না। ফলে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে। একসঙ্গে পুরো রাস্তার কাজ শুরু না করে, যদি অর্ধেক-অর্ধেক করে করা হতো, তবে এতো বেশি ভোগান্তি হতো না।
মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার এলাকার ৪ নাম্বার রোডেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। আর এই রোড দিয়েই প্রতিদিন নিজের ১২ বছর বয়সী মেয়ে ও ৪ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্বপ্না বেগমকে।
নিজের দুর্ভোগের কথা ব্যাখ্যা করে স্বপ্না বাংলানিউজকে বলেন, আজ কত দিন হয়ে গেলো রাস্তাটার এমন অবস্থা। কিন্তু এখনো কাজ কমপ্লিট হচ্ছে না। আমরা যারা স্থানীয় বাসিন্দা আছি, এমন অবস্থায় এখন কী করে চলাফেরা করি। গতকালের বৃষ্টিতে এই রাস্তায় এক কোমর পানি হয়েছিলো। বৃষ্টির সময় যদি রাস্তায় পানি জমে থাকে তাহলে আর এই সংস্কার কাজ করে কী লাভ?
পল্লবী থেকে ঢাকেশ্বরীগামী সেফটি বাসের চালক মো. চাঁদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মেট্রোরেলের কাজ এবং রাস্তা সংস্কারের জন্য এই রোডে গড়ির চালানো এখন অনেক মুশকিল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ থাকার কারণে যাত্রী উঠানো ও নামানো ঝামেলা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয়দের কিছু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের তো উন্নয়ন কাজ করতে হবে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সমস্যা হয়েছে বেশি। তাই আমরা আজ কিছু জায়গায় মাটি ফেলে চলাফেরার জন্য ব্যবস্থা করছি।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এমএ/টিআই