সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী।
তিনি বলেন, নারীকে কর্মক্ষেত্রেও যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়।
সালমা আলী বলেন, নারীর স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আমরা ভালো মা পাবো না, ভালো কর্মী পাবো না। এর প্রভাব পুরুষের উপরেও পরে। তাই নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গৃহকর্মী যদি টয়লেট পেপার ব্যবহার না করেন, তবে নিজে ব্যবহার করলে কোনো লাভ নেই। সে যদি পরিষ্কার না থাকে তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে লাভ নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন বলেন, নারীর দুই ধরনের স্বাস্থ্যসেবাকেই নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য- দুই দিকেই নজর দিতে হবে। এজন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন দরকার।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, নারীদের বঞ্চিত করে গণতন্ত্র হতে পারে না। এজন্য সামাজিক সুরক্ষার দরকার। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা না থাকলে তার প্রভাব পুরুষের তথা গোটা সমাজে পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নার্গিস জাহান বানু বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। তবে মানসিক উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই কাজ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও জাগরণ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করে।
জাগরণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত শ্রম পরিচালক এমএ রশিদ মোল্লা, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান কেন্দ্রের আইন কর্মকর্তা মাসুমা রহমান, গ্রামীণ শক্তি সামাজিত ব্যবসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালেহা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভা পরিচালনা করেন গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি নারীনেত্রী সুলতান বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
ইইউডি/এএ