ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘ফারাক্কার বাঁধ ভেঙে দাও’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
‘ফারাক্কার বাঁধ ভেঙে দাও’ ফারাক্কার বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ফারাক্কা ও গাজলডোবা বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইনের ভিত্তিতে গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় আঞ্চলিক পানি ব্যবহার চুক্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও সামনে এনেছে তারা।

সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানায়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, গঙ্গা অববাহিকার মাত্র ৮ শতাংশ বাংলাদেশের, বাকিটা ভারতের।

  তাই, বলে গঙ্গা চুক্তিতে ভারতকে ৯২ শতাংশ পানি দেওয়ার কথা বলা হয়নি। আবার তিস্তা নদীর অববাহিকার ১৬ শতাংশ বাংলাদেশে, অথচ সমগ্র তিস্তা অববাহিকার ৫০ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ অংশে বাস করে। তাই যথাযথ পরিবেশ বিবেচনায়, তিস্তার পানি ব্যবহার প্রশ্নে নদীর নিজের জন্য (ই-ফ্লো) ন্যূনতম ৩ হাজার ২শ’ কিউসেক পানি রেখে বাকিটুকু ৫০ অনুপাত ৫০ ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবহৃত হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরেই ভারত সফর করবেন। আশা করি এ সফরে বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।

আমাদের দাবি প্রথমত, ফারাক্কা ও গাজলডোবা বাঁধ ভেঙে দাও। দ্বিতীয়ত, ভারত ও বাংলাদেশ মিলে গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পরিবেশবান্ধব পানি ও অববাহিকা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করো। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইন ১৯৭/২০১৪ অনুসমর্থন ও তার ভিত্তিতে আন্তঃনদী পানি ব্যবহার চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন করো।

জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য শেখ রোকন বলেন, এ আন্দোলনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। কেননা, নদীকে সাগরের দিকে যেতে দিতে হবে। অন্যথায় সাগর নদীর দিকে চলে আসবে।

এ সময় আরো ছিলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, নদী রক্ষার বিষয়টি মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
ইইউডি/ওএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।