ঢাবির সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবিসাস।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে সমিতির দফতর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদের পরিচালনায় এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ভাঙচুরের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসেনের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী। হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ ও নয়ন হাওলাদারের নির্দেশেই এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক নেতারা।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বিজয় একাত্তর হল শাখার কমিটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ছাত্রলীগ ওই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
নেতারা আরো বলেন, এ ঘটনার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায়ও ছাত্রলীগ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ বানিয়ে ‘বহিষ্কার’ করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি প্রকারান্তে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়ার শামিল। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্রলীগের সব ইতিবাচক সংবাদ ও কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সভায় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানান। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক এ দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ