মঙ্গলবার (২১ মার্চ) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এ আদেশ দেন। জহির মিয়া কুমিল্লা নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকার বাসিন্দা।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী একই জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে শিরিন আক্তার ও শিরিন আক্তারের পরকিয়া প্রেমিক নগরীর ঝাঁকুনীপাড়া এলাকার মৃত কুমোদ চন্দ্র ভট্টাচার্যের ছেলে দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য (২৮)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে মুখে কস্টেপ ও বালিশ দিয়ে চেপে হত্যা করা হয়। এরপর জহির মিয়ার বড় ভাই বাদি হয়ে মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নবী উল্ল্যাহ, উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান ও উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলার তদন্তপূর্বক মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আদালতে ১৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত আসামি শিরিন আক্তার ও দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মো. নূরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এনটি