পুরনো সেই কারাগারেই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ মার্চ) সকালে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ শিরোনামে দুর্লভ প্রদর্শনীর সংবাদ সম্মেলন করে কারা কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলন শেষে সংবাদ কর্মীদের কারাগারের ভেতর ঘুরে দেখার অনুমতি দেয়া হয়।
ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, আসামি শূন্য কারাগারে যেনো ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু কারা সেলুনের পেছনে পরিপাটি এক তলা ভবনটাতে কারা বেকারি ঠিকই কর্মচঞ্চল।
কয়েকজন বিস্কুট বানাতে ব্যস্ত। এক মনে কাজ করছেন আলম মিয়া, দুলাল, আশিক। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেসরকারি কর্মচারী। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ রকম বেকারি আইটেম তৈরি করেন। এখানকার খাবার পাঠানো হয় কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে।
বেকারিতে পণ্য তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্র চারদিকে পড়ে আছে। একটি বড় চুলার ভেতরে আগুন জ্বলছে। এর পাশের একটি কক্ষে বসে আছেন কারারক্ষী আব্দুর সাত্তার।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই পুরাতন কারাগারের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও শুধু এই কারা বেকারিটি চালু আছে। এখানে আগে আসামিদের জন্য ১২ ধরনের বেকারি পণ্য তৈরি করা হতো। এখন লোক স্বল্পতার কারণে আইটেম কমে গেছে।
এখন শুধু তৈরি করা হয় বিস্কুট, রুটি ও কেক। এগুলো সব কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে আসামিদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানকার আসামিরা পিছি কার্ডের মাধ্যমে এগুলো কিনে থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নতুন কারাগারে গ্যাস না থাকায় এখনো বেকারির কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার বেকারি পণ্য এখানে তৈরি করে নতুন কারাগারে পাঠানো হয়।
** স্বাধীনতা দিবসে পুরাতন কারাগারে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
জেডএম/