বুধবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এরআগে সদর উপজেলার মেঘনা নদীর মজু চৌধুরীর হাট, চর রহমনী মোহন, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট ও বাতির ঘাট এলাকায় মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. হোসেন, মো. জায়েদ, আবদুর রহিম, ইব্রাহীম, শফি উল্লাহ মাঝি, রুহুল আমিন, মো. বেলাল, আবুল কাসেম, মো. রুহুল আমিন, নুর আলম, মিলন, নোমান, মোসলেহ উদ্দিন, আমজাদ, মো. হাসান, তৈয়ব আলী, আমজাদ হোসেন, আশরাফ আলী, নুর আলম, রুহুল আমিন, মো. হান্নান, আমির হোসেন, মো. নিজাম, আবুল কালাম, সালাহ উদ্দিন ও মো. কামাল। তারা সবাই কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করার সময় ২৬ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ১০টি নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জালে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করা হয়। আটক জেলেদের রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে মোট ১লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
প্রসঙ্গত, জাটকা রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
বিএস