ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় তার ফাঁসির আদেশে খুশি হয়েছেন চাষাঢ়া বোমা হামলায় আহতরা। অবশ্য চাষাঢ়া বোমা হামলা মামলায় ফাঁসি হলে তারা আরও বেশি আনন্দিত হতেন বলে জানিয়েছেন তারা।
২০০১ সালের ১৬ জুন সংঘটিত বোমা হামলায় পা হারানো আওয়ামী লীগ নেতা ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি চন্দন শীল জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নানের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এতে আমরা খুশি কারণ একটি মামলায় তার সাজা হয়েছে। আমি আরো বেশি খুশি হতাম যদি ১৬ জুনের বোমা হামলা মামলায় তার সাজা হতো।
তিনি বলেন, সেদিন হান্নানতো শ্রমিকের কাজ করেছে। তার সাথে তার মালিক যারা তাকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছে, এসব হামলার মাস্টারমাইন্ড তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে সাজা দেয়া হলে আমি খুশি হতাম।
নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা সাইদুল হাসান বাপ্পিও সেদিনের হামলায় নিহত হয়েছিলেন। তিনিসহ আওয়ামী লীগের নিহত নেতাকর্মীদের স্বজনদের আহাজারিতে নারায়ণগঞ্জের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।
সেদিনের সেই হামলায় আহত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়াস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলায় মারা যান ২০ জন হতভাগ্য। সেদিন আহত হয়েছিলেন ওই সময়ের ও বর্তমান এমপি শামীম ওসমানসহ অর্ধ শতাধিক, অনেকেই হয়েছেন পঙ্গু। ঘটনাস্থলে ১১ জন ও পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরসহ মৃত্যু ঘটে মোট ২০ জনের। এদের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হলেও পরিচয় মেলেনি এক নারীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
আরআই