শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর গোলচত্বর সংলগ্ন উত্তরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমিন সাগরসহ কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি হোটেলের মালিক বাংলানিউজকে জানান, গোলচত্বর থেকে খিলক্ষেতের দিকে আসতে রাস্তার বাম পাশে ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে পুলিশের দু’টি বক্সের মাঝখানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর হোটেলে ফিরে এক কাস্টমারকে টাকা দিচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি বিকট শব্দ হয়। ওই শব্দ শুনে সেখানে দৌড়ে যান তিনি। দেখেন একটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে আছে। তখনই আশপাশে থেকে ছুটে আসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এখন বিস্ফোরণস্থলকে লাল-কালো কাপড়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, বিস্ফোরণস্থলটি ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত সড়কে হওয়ায় সেখানে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে তৎপর রয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারাও। সড়কে যান চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবারই উত্তরার আশকোনায় র্যাবের ক্যাম্পের সামনে একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেখানেও বোমা বহনকারী নিহত হয়। তাকে জঙ্গি বলে উল্লেখ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
এসজেএ/এসএইচ/এইচএ/